চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া এলাকার নুরু মেস্ত্রীর বাড়ির প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা মো. দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া এলাকার নুরু মেস্ত্রীর বাড়ীর মো. দিদারুল ইসলামে কন্যা হামিদা বেগম (৫) উত্তর জলদী আহমদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্রী । একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের পুত্র মিনি ট্রাক চালক কামাল উদ্দীন (১৮) তাকে ফুঁসলিয়ে জাম খাওয়ানোর কথা বলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফোরকানীয়া এবাদত খানা সংলগ্ন পূর্ব পুকুর পাড়ের নির্জন স্থানে ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর ওই ছাত্রীর রক্তক্ষরণ হওয়া অবস্থায় তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে। পরবর্তীতে ধর্ষিতার মা তার শিশুটির বাবাকে ফোন করে বিস্তারিত জানান।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তা ধর্ষককে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শিশুটির রক্তপাত বন্ধ না হলে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বাঁশখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতা শিশুটিকে চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ধর্ষিত শিশুটি ২ দিন ধরে চমেক হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে, ধর্ষিতার পিতা মো. দিদারুল ইসলাম জানান,আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে মেয়ের অবস্থা খারাপ এবং আশংকাজনক।চিকিৎসকেরা অপারেশনের পরার্মশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিপ্লব জানান, ধর্ষককে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে মেয়ের বাবা দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে রাতেই বাঁশখালী থানায় মামলা করেছেন।
