মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বললেও ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে তার পরিবার।
শাহরিয়ার আলম নামের ওই কিশোর বন্দরনগরীর এনায়েত বাজার জুবিলী রোডের ফোম মার্কেট গলির শাহিন আলমের ছেলে। সে হালিশহর থানাধীন নতুন বাজার মসজিদ গলির মাহদাতুল উম্মাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই হেফজখানার টয়লেটে শাহরিয়ারকে ঝুলন্ত অবস্থায় পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
“টয়লেটের সিলিং থেকে গলায় লুঙ্গি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল শাহরিয়ারের দেহ। সেটি তারই পরনের লুঙ্গি বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাতে শাহরিয়ারকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরিয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই মাদ্রাসার পরিচালক মনির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হালিশহর থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
হালিশহর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, “মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলছে। প্রাথমকি আলামত দেখেও সেটাই মনে হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
তবে শাহরিয়ারের পরিবার দাবি করছে, তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
শাহরিয়ারের খালা সুলতানা আক্তার চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, “মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সুইসাইড করেছে দাবি করলেও আমরা তা বিশ্বাস করি না। ওর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওকে পিটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা মামলা করব “
চট্টগ্রাম খবর/কে.বি.আর