সুপার ফোরের আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান ম্যাচের ধারাবাহিকতায় ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তাই প্রথাগত চিন্তার বাইরে যাওয়া চমক নিয়ে হাজির বাংলাদেশ। রহস্য রেখে দিলেও আগের দিন, বিশেষ করে ওপেনিংয়ে অন্য রকম কিছুর ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ওপেনিংয়ে এই আসরে টানা ব্যর্থতার চক্কর থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাব্য সমাধান এ রকম হতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছিলেন তিনি, ‘দেখুন, এ টুর্নামেন্টে তো আমরা নিজেরাই অনেক চমক পেয়েছি। আপনাদেরও যা চমকে দিয়েছে। কালকেও (ফাইনালে) আপনারা এমন কাউকে দেখতে পারেন, যে কখনো ইনিংস ওপেনই করেনি। সব কিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আপনাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হাসতে হাসতে ওই কথা বলে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় জল্পনাকল্পনা। কে হতে পারেন ওপেনিংয়ে লিটন কুমার দাশের সঙ্গী। এ আসরে ৬ নম্বরে ব্যাটিং করে আসা ইমরুল কায়েসের আবার নিজের চেনা ব্যাটিং পজিশনে ফেরার সম্ভাবনায় হাওয়া দিচ্ছিল দলীয় সূত্রও। কিন্তু ইমরুল-লিটন কম্বিনেশনে তো আর কোনো চমক থাকে না। আবার আসল খবর প্রকাশ্য করে না দিয়েও চমকটা রাখতে চেয়েছে দল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিরাজ এর আগে কখনো ওপেন করেননি। আট, নয় বড় জোর ছয়ে ব্যাটিং করেছেন অফ স্পিনার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মিরাজ। তবে বয়সভিত্তিক দলে ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বেশির ভাগ সময়ই চাপের মধ্যে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, টানা চার ফিফটি করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এসে যদি তাঁর ব্যাটিং-সত্তা একটু আড়ালেই চলে গেছে। অধিনায়ক মাশরাফি অবশ্য নানা সময়ে মিরাজের ব্যাটিং প্রতিভাকে কাজে লাগাতে চেয়েছেন। কিন্তু নানা পরিস্থিতিতে সেটি সম্ভব হয়নি। অবশেষে হলো। এবার এশিয়া কাপেই সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৪২ রানের দারুণ একটি ইনিংস রয়েছে মিরাজের। সেটিই হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টকে উৎসাহিত করেছে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামানোর।
চট্টগ্রাম খবর/কে.বি.আর