শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালীতে মাদক ব্যবসায়ীদেও সাথে পুলিশের পৃথক বন্দুক যুদ্ধেও ঘটনায় ২ মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ সহ আহত হয়েছেন ৮ জন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বও ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন দরগারছড়া এলাকা ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করার সময় ইয়াবা কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে আত্ম রক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুতুইয়া মিস্ত্রীর লাশ, ২টি অস্ত্র, গুলি ও ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত পুতুইয়া হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে। এঘটনায় এসআই নাজিমসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদেও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া আরো জানান, মাদক পাচারকারীরা যত বড় শক্তিশালী হোক কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, মহেশখালীতে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ করিম প্রকাশ মাত করি নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ করিম ছোট মহেশখালী ইউপির লম্বাঘোনা এলাকার ইউছুপের ছেলে।
৩০সেপ্টেম্বর রবিবার ভোর ৫টার সময় ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়ের শাপলার ডেবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হন। আহতরা হলেন, এসআই দীপক, এএসআই সনজিব, কনস্টেবল আবতাফ, কনস্টেবল মহি উদ্দীন, কনস্টেবল ইব্রাহীম ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮টি বন্দুক, দুই হাজার পিস ইয়াবা ও ২০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, উপজেলার ছোট মহেশখালীর মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদ করিম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সড়কে ডাকাতি করে আসছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সড়কে ডাকাতি করে সোনারামের পাহাড়ে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে। এমন খবরে পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ঘন্টা ব্যাপী বন্দুক যুদ্ধের পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ করিম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়। তারা সকলেই মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতে পাটানো হয়েছে।
অপরদিকে, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড জাঁহালিয়া পাড়া এলাকায় বড় ভাইয়ের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন ছোট ভাই। ৩০ সেপ্টেম্বর রাত গভীর রাতে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ও হত্যাকারী দুই ভাইই প্রবাসী বলে জানা যায়।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর গভীর রাত ২টার দিকে টেকনাফ সদর ২নং ওয়ার্ড জাঁহালিয়া পাড়া এলাকার মৃত নাজির হোসেনের ছোট ছেলে মোহাম্মদ ইসমাঈল (২৮) কে তার আপন মেঝ ভাই ফরিদ আহাম্মদ ভাবীর সাথে পরকীয়ার জেরে নিজ বসত বাড়ীতে জবাই করে খুন করেছে বলে জানা যায়। ভাইকে হত্যা করার পর ঘাতক ভাই পালিয়ে গেছে।
হত্যাকারী নরপশু ফরিদ আহমদ সৌদি প্রবাসী এবং নিহত ইসমাইল মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন।
টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, নিহত মোহাম্মদ ইসমাঈল এর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
