সিলেট শহরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এই জোটের জনসভায় বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।।
যদিও ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার প্রধান দাবিগুলোই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা।
তবে সরকার বিরোধী নতুন জোট নেতারা বলছেন তীব্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা এবং আন্দোলন দমনে ক্ষমতাসীনদের কঠোর অবস্থানের মধ্যে এই জোট কিভাবে দাবি আদায় করবে সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
বিকল্প ধারাকেই তো সম্পৃক্ত করতে পারলেন না, জনগণকে কিভাবে পারবেন: মাহী বি চৌধুরী
এদিকে সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় শুরু থেকে থাকা বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার দল বিকল্প ধারাকে বাদ দিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্ট জাতিকে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাতে শুরুতেই ব্যর্থ হয়েছে।
“মানুষ রাস্তায় নামবে, মানুষ অস্ত্রের মুখে এসে দাঁড়াবে, জীবনের ঝুঁকি নেবে, গুলি খেয়ে মরে যাবে, তারপরে আওয়ামী লীগের যায়গায় আবার নতুন বিএনপি সরকার গঠন করবে এককভাবে আবার স্বেচ্ছাচার চলতে থাকবে, দুঃশাসন চলতে থাকবে মানুষ কেন তাহলে সেই ঝুঁকি নেবে?”
“এই জায়গায় আমরা বার বার বলছি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, সত্যিকারের স্বপ্ন দেখাতে হবে।”
মাহী বি চৌধুরী আরও বলেন, “আমরা যে ক্ষমতার জন্য এবার রাজনীতিটা করছি না সেই জিনিসটা পরিষ্কার করতে হবে। সেটা পরিষ্কার না করতে পারলে জনগণকে সম্পৃক্ত করবেন কী করে? বিকল্প ধারাকেই তো সম্পৃক্ত করতে পারলেন না!”
ঐক্যফ্রন্টের শরিকদল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণকে নিয়ে ধাপে ধাপে তাদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করা হবে।
“জনগণকে সংগঠিত করেই দাবি আদায় করবো। এর জন্য আন্দোলনের যতগুলো কর্মসূচী হতে পারে সেগুলো অবরোধ থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যতো রকম কর্মসূচী আছে সবগুলো পালন করবো আমরা।”
মওদুদ আহমদ বলেন, “গণ বিস্ফোরণ হবে। মাঠে ময়দানে মানুষের জোয়ার উঠে যাবে। এখন যদি সরকার সেটি করতে না দেয়, বাঁধা দেয় সেটা তো সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে। তারা যদি সশস্ত্র বাঁধা দেয়, তার পরিণতি নির্মম হবে। সেখানে তো আর গণতন্ত্র থাকবে না।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জোট হলেও তাদের মূল শক্তির জায়গা বিএনপি এবং তাদের সমর্থক।
চট্টগ্রাম খবর/কে.বি.আর