ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের সতর্ক ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ তত দৃঢ় হয়েছে জিম্বাবুয়ের। প্রথম সেশনেই তুলে নিয়েছে স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেট।
লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১১১/৫। মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ৩ রানে। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ২১০ রান।
দুই ওপেনারের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে ফেরান সিকান্দার রাজা। কাইল জার্ভিসের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন মুমিনুল হক। লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে ব্র্যান্ডন মাভুটাকে উইকেট উপহার দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
জিম্বাবুয়ে বোলারদের জবাব পাচ্ছেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। একের পর এক আসছেন আর যাচ্ছেন। সবশেষ যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার শিকারী ব্রেন্ডন মাভুতা। তার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
শেষ খবর পর্যন্ত প্রথম সেশন শেষে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে স্বাগতিকরা। ৩ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য এখন দরকার ২১০ রান।
ইতিহাস বলছে, এ পরিস্থিতি থেকে জিততে হলে অসাধ্য সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে। গড়তে হবে দুটি অনন্য রেকর্ড। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হবে টাইগারদের। আগের রেকর্ডটি ২১৫। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ রান তাড়া করে জেতে টিম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের। ২০০৮ সালে ৩১৭ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয় কিউইরা। এবার জিততে হলে তাই একইসঙ্গে দুটি রেকর্ড নতুন করে লিখতে হবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনীকে।
চট্টগ্রাম খবর/কে.বি.আর