মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন বা ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের মানবিক সহায়তায় উপহার/ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ীদের অনেকেই। তবে সেখানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি আমিরাত ও আওয়ামী যুবলীগ এর।
মানবিক কর্মসূচির নাম রাখা হয় “ভালোবাসার উপহার” যা পরিচালিত হচ্ছে গ্রহীতার ছবি বা কোন প্রমাণ না রেখে।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ সভাপতি এম এ মুছা এবং আওয়ামী যুবলীগ এর সভাপতি রফিকুল আলাম, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জুয়েল এবং নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে প্রকৌশলী মাহিউদ্দিন বেলাল রনি, আবদুল মতিন, সাইফুল ইসলাম সাইফু, টি আর রোবেল, দেলোয়ার, শান্ত ভূইয়া, জসিম উদ্দিন, জাকির এর উদ্যোগে এক আলোচনায় এই কর্মসূচী গৃহীত হয়।
প্রয়োজন মতো ৫/১০ কেজি চাল, ডাল ১/২ কেজি তৈল ১/২ লিটার, আলু ২/৩ কেজি, সবজি, লবন, এক প্যাকেট মুড়ি।
এই পর্যন্ত পাঁচশো জনকে বিলি করা হয়েছে। অনেক সংগঠন এদের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে নিজেরাও ছবি বিহীন এভাবে ত্রাণ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য যে যার মতো করে প্রথমে “ত্রাণ”নামে এই কার্যক্রম শুরু হলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় প্রবাসী ভাইদের সহয়তা কার্য্যক্রম পরিচালনায় দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে প্রতিষ্টিত মুজিব কর্ণার কে ব্যবহার করা হচ্ছে মূল কাজে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি কনসাল জেনারেলের ডাকে সাড়া দিয়ে এই কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন চাল, ডাল, পিয়াজ, আলু, তৈল, লবন দিয়ে।(কারণ নগদ কোন অর্থ নেওয়া হয় না) এতে আসন্ন সমস্যা সমধানে সফলতা আসবে বলে মনে হয়।
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে চার লাখের অধিক বাংলাদেশী প্রবাসীর বসবাস চাকুরী ও ব্যবসা সূত্রে। আবুধাবী আল আইন মিলিয়ে আট লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী আমিরাতে (কম বেশী)
যার বেশীর ভাগ শ্রমিক। এই মানুষ গুলোকে যদি সহয়তা দিতে হয় তাহলে কোন ভাবে সম্ভব নয় বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত অর্থে।
তাই আমাদের প্রাণের দাবী ছিলো পরিকল্পিত একটি সম্বনয়ের মাধ্যমে এগিয়ে আসা মানবিক যোদ্ধাদের সাথে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এশিয়াননিউজ কে
এম এ মুছা বলেন, আমরা দাবী করেছিলাম দুটি হটলাইনের, যেখানে প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা যোগাযোগ করবে। এটি লিপিবদ্ধ করবে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং নিদিষ্ট স্হানে পাঠিয়ে দিবে কমিনিউটির দশজন স্বেচ্ছাসেবক। যারা কাজ করবে স্বাস্থ্যবিধি ও এদেশের আইন মেনে। কোন প্রকার ছবি তোলা যাবে না গ্রহীতার। শুধু মাত্র পেকেট করার পর বা পেকেট গাড়িতে তোলার সময় ছবি তোলা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আশারবাণী হলো অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন প্রবাসীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে উপস্হিত হচ্ছে।
আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় বলতে চায় মহামারী হতে উত্তোরণে আমাদের সময় লাগতে পারে আরো ২/৩ মাস। তাই শুধু মাত্র যাদের প্রয়োজন সহয়তা তাদের আপাতত দিন। কেননা অনেক প্রদেশে এখনো কাজ চলছে অথবা আয় উপর্জনের সুযোগ আছে।
তাই তেলের মাথায় তেল না দিতে অনুরোধ করবো।
আর আত্মপ্রচারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবেন না। এরা বিরক্ত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্গন হচ্ছে অহরহ। ছবি বা লাইভ দিতে গিয়ে হাঁসির পাত্র হবেন না। দয়া করে কোন গ্রহীতার ছবি সামাজিক প্রচার মাধ্যমে দিয়ে তার সামাজিক মর্যদা ক্ষুন্ন না করার অনুরোধ করছি। সে আজ হয়তো দুঃখে কাল আমি আপনি একই পথের প্রতীক হবো না তার গ্যারেন্টি কি? এই মানবিক কর্মশালার নামকরণ হোক “ভালোবাসার উপহার”। বিপদে এগিয়ে আসায় আসল মানবতা। কাউকে দেখানো জরুরী নয়। সন্তুষ্টি মহান সৃষ্টিকর্তার।
আমরা কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করেছি সাধ্যে মধ্যে যা চলমান। আপনিও এগিয়ে আসুন সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
নিজে সচেতন হোন
নিজে বাচুঁন
অন্যকে বাচাঁন।
দেশের আইন মেনে চলুন।
নিরাপদ থাকুন।
