শুভ জন্মদিনে নেত্রীর সমীপে খোলাচিঠি–
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা, আপনার জন্মদিনে আপনার প্রতি লাখো কোটি সালাম,শুভেচ্ছা ও হ্রদয় নিংড়ানো ভালোবাসা রইলো। দেশের চলমান কর্মযজ্ঞ আপনাকে অবসর দেয় না তা জানি।তারপরও আপনার কর্মব্যস্ত এ সময়ে শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দু’কলম লিখতে বসেছি।জানি আপনার অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হবে।জানিনা আপনার শুভদৃষ্টি পড়ে কিনা।আজকের এ শুভ জন্মদিনে আপনার মঙ্গল কামনা করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ২০০৩ সালের একটি ছবিই আছে আমার সংগ্রহে আপনাকে নিয়ে লেখার জন্য। ছোট বড় অনেকের সাথে আপনার সাক্ষাৎ হয় গনভবনে কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।কিন্তু আমাদের ভাগ্যে সেই আশা অনেক কঠিন। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এ অভাগার আবেগের কথাগুলো লিখলাম। ভুলত্রুটি আপনি মমতাময়ী মা,আমাদের প্রানের নেত্রী হিসাবে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে আশাকরি দেখবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা। আজ আপনার শুভ জন্মদিন। আল্লাহ আপনাকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু করুক এটাই একমাত্র প্রত্যাশা। আজকের দিনে আপনার কোটি কোটি কর্মী আপনাকে নিয়ে শুভ কামনা জানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে লিখছে,লিখবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কোটি কোটি বাঙালির হ্রদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আপনি আমাদের আবেগ,ভালোবাসার একমাত্র প্রানের নেত্রী।কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আপনাকে আমাদের মত কোটি কোটি নেতাকর্মী থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে আপনার ক্ষমতার চারপাশে ঘিরে থাকা কোন কোন দুষ্ট চক্র। কাউকে এককভাবে ম্যানশন করছি না এরা কারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের আবেগ ভালোবাসার জায়গায় কোন কুচক্রী ভাগ বসালে মেনে নিতে পারি না। অনেক কষ্ট হয়,হ্রদয়ে রক্তক্ষরন হয়।২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসলে কঠিন সংকটময় সেই সময়ে আমরা আপনার পাশেই ছিলাম,যখন আজকের ক্ষমতাসীন অনেকে দেশ ছেড়ে বিদেশে অবস্থান করেছে,যারা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে দেশে এসে নৌকার পাল ধরেছে। আমরা সেদিনের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই ছিলাম আপনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসাবে ।কোন এসএসএফের দরকার পড়েনি সেদিন,নীচের একটি ছবি যেটা ২০০৩ সালে বাঁশখালীতে ১১জনের এক হিন্দু পরিবারকে পুড়িয়ে মারার পরের দিন আপনার সেই স্হানে উপস্হিতির ছবি সেটাই হয়তো প্রমান করে, যে ছবি কোন সেলফিতে নয় জাতীয় দৈনিক আজাদী থেকে সংগ্রহ করেছি।আমরাই নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করেছিলাম।সেদিন চট্টগ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্রনেতা, হাজারো নেতাকর্মীর অভিভাবক শহীদ ছাত্রনেতা, সে সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক মহিম উদ্দিন মহিমের নেতৃত্বে আমরা যে কোন দুর্বিপাকে হিমালয় পর্বতের মত অটল ছিলাম।তখন আপনার পাশে দাঁড়াতে আমাদেরকে কেউ বারন কিংবা নিভৃত করতে পারেনি।কোন প্রটোকলেরও দরকার পড়েনি।সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে সচেষ্ট ছিলাম।সে দূর্দিন দুঃসময়ে,দলের কঠিন সংকটময় সময়ে,২০০১ এর নির্বাচন এর পরে বিএনপি জামাতের ক্ষমতাকালীন সময়ে আপনাকে ফেলে আমরা কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি।যখন বিএনপি জামাতের অত্যাচারে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রানভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।বরং আমি ২০০৪ এবং ১/১১ তে গ্রেফতার হয়ে অত্যাচার,নির্যাতনের শিকার হয়েছি।বের হয়ে পালিয়ে যায়নি।অথচ যারা পালিয়ে গেছে পরবর্তীতে তারাই সুবিধাভোগী।
আজ সরকার প্রধান হিসাবে হয়তো আপনার কঠিন নিরাপত্তা জরুরি। কিন্তু সাক্ষাৎ বঞ্চিত হবো কেন আপনার?যখন দেখি কোন দিন সংগঠনের ধারে কাছে না থেকেও গনভবন থেকে সেলফি মারে আমরা গনভবনে।বলা যায় গনভবনে ওদের অবস্হান অনেক মজবুত।আপনার প্রোগ্রামের কার্ড আমরা খুঁজে পেতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়।কিন্তু ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, স্বর্ন চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা বিনা বাঁধায় সেই কার্ড পেয়ে বালিশের নীচে ফেলে রাখে।তারা তাদের পরিচিত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের এগুলো বন্টন করে দলের,আপনার নিরাপত্তা সংশয়ে ফেলে দেয়। আমরা কোন মেসেজ আপনাকে পৌঁছাতে পারিনা ওদের কারনে।ওদের ভাবসাব দেখলে মনে হয় বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করেছে।
হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ হতাশার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত। তারা আপনার সাথে, দলের সাথে বেঈমানী করতে পারবে না।বরং ধুকে ধুকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারবে।কখনো খন্দকার মোশতাক এর চরিত্র ধারন করবে না।তাদের কথা আপনাকেই ভাবতে হবে।চলমান রাজনৈতিক হাইব্রিডরা ওদেরকে নষ্ট করে দিচ্ছে, দিবে।চারিদিকে মৌলবাদীরা যেভাবে ফনা তুলছে,যেভাবে মাথা চড়া দিয়ে উঠছে যেন বিপদের সংকেত।এ সময়ে আপনার ৮০/৯০ দশকের নেতাকর্মীদের দরকার।ওদের মেধা,শ্রম ও সাহসীকতাকে কাজে লাগাতে হবে।ইনশাআল্লাহ আপনিই জিতবেন যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে। আল্লাহ আপনার সবসময় সহায় থাকেন।আল্লাহ করিমের দয়া আপনাকে ঘিরেই আছে।সাথে আছি আমার মত কোটি কোটি নেতাকর্মী। আপনার আগামীর পথচলা আরও সুন্দআগামীর পথচলা আরও সুন্দর, সফলও শান্তিময় হউক শুভ জন্মদিনে এটাই হউক আমার একমাত্র প্রার্থনা।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
ইতি আপনার অদম,
নালায়েখ,
নাখান্দা আবেগি কর্মী
“জাবেদুল আযম মাসুদ”
সাবেক সহ-সভাপতি
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ।
ছবির সময়কাল – ০৩/১২/২০০৩ (বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমল)
ছবির স্থান – বাঁশখালী
ছবিতে যারা যারা আছেন – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী “শেখ হাসিনা”, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবদুল জলিল, আইভি রহমান, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আখতারুজ্জান বাবু, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন, সাইফুদ্দিন রবি, শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিম ও সাবেক ছাত্রনেতা জাবেদুল আযম মাসুদ সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।