এবার মোট ২৭৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে। গত বছর পূজার আয়োজন করা হয়েছিল ২৭০টি মণ্ডপে। নগরীতে এবার সবচেয়ে বেশী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হচ্ছে কোতোয়ালী থানা এলাকায়। এই থানা এলাকায় ৮২টি মণ্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী জেএমসেন হল, হাজারীগলি, ঘাটফরহাদবেগ এলাকার পূজামন্ডপ সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে পূজোর মূল আয়োজন। ২৬ অক্টোবর দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গাৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
এবারের দুর্গাপূজায় প্রতিটি মন্ডপে নারী ও পুরুষের আলাদা প্রবেশ ও বাইরের পথ রাখা, ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’, প্রবেশ পথে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখাসহ ভক্তদের মানতে হবে ১১টি শর্ত।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি)র পক্ষ থেকে পূজা মণ্ডপে পুলিশী নিরাপত্তা না দেওয়ার ঘোষণা থাকায় পূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
পূজো আয়োজকদের রাখতে হবে হাত ধোঁয়ার ও মাস্কের ব্যবস্থা। স্বাভাবিক সময়ের মত রাতভর থাকবেনা মন্ডপে ভক্তদের পদাচরণা। এছাড়া করোনাকালে দূর্গাপূজায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ২৬ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবারের পূজায় নগরীর বড় আয়োজন জেএমসেন হলে থাকছেনা কোন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাপড় বিতরণ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও অনাথ আশ্রমে খাবার বিতরণের কর্মসূচি থাকবে।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর করোনা মহামারির কারণে আসন্ন দুর্গাপূজায় চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপগুলোতে কোন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের পূজা উদযাপন কমিটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদিকদের এ কথা জানান সিএমপি কমিশনার।