শ্বশুরবাড়ির আঙিনার মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজারের মহেশখালীতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে এই গৃহবধূর খোঁজ পাচ্ছিলেন না তার স্বজনরা।
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকা থেকে আফরোজা বেগম (২৪) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ওই এলাকার হাসান বশিরের ছেলে রাকিব হাসান বাপ্পীর স্ত্রী বলে জানান মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই।
নিহত আফরোজা একই উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া এলাকার মো. ইসহাকের মেয়ে। তার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পী পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
তিনি আরো জানান, গত ১২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ি থেকে আফরোজা বেগম ‘নিখোঁজ’ হন। এ ঘটনায় পিতা মো. ইসহাক বাদী হয়ে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। স্বজনদের পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও আফরোজার সন্ধান পায়নি।
‘ঘটনার অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, নিখোঁজ গৃহবধূ আফরোজার লাশ শ্বশুরবাড়ির আঙিনায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় রয়েছে। পরে শনিবার রাতে মাটি খুঁড়ে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করেছে।’
এবছরের শুরুতে রাকিব হাসানের সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। আফরোজা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর বাপ্পীকে বিয়ে করে। অন্যদিকে রাকিব হাসানের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে জানান ওসি।
আফরোজার স্বজনদের অভিযোগ, রাকিবের তালাক হয়ে যাওয়ার পর আফরোজার সঙ্গে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বাপ্পীর সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর আবারও যোগাযোগ গড়ে উঠে। এ নিয়ে আফরোজা ও বাপ্পীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।’ দাম্পত্য এ কলহের জেরে রাকিব হাসান বাপ্পী স্ত্রীকে প্রায়শই নির্যাতন করতেন বলেও তার অভিযোগ করছেন তারা। এ নিয়ে সামাজিক সালিসেও বসেছিলেন দুপক্ষ।
ওসি আবদুল হাই জানান নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।