চট্টগ্রাম বন্দরে এখন পর্যন্ত মোট ৪৩২ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সিবিএ নেতা ফখরুল আলম, বন্দরের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাসহ ১৪ জন।
সর্বশেষ আক্রান্ত বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মোমিনুর রশিদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
‘করোনার সাধারণ ছুটির মধ্যেও ২৪ ঘণ্টা চালু ছিল বন্দর। দেশের চলমান আমদানী-রফতানীর গতি সচল রাখতে চালু রাখতে হয়েছে বন্দরকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আমদানি-রপ্তানী পণ্য শুল্কায়নে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা খালাসের জন্য বন্দরে আসেন। প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার সেবাগ্রহণকারী কাস্টম হাউজ ও বন্দরে আসার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না’ বলে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার জন্য বন্দর হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে। মোট আক্রান্ত হন ৪৩২ জন। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে ১৯৫২ জনের। রিপোর্ট অপ্রকাশিত আছে ৫৩ জনের। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৯৯৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১১৬ জন। শুধুমাত্র ৯ নভেম্বর একদিনে নমুনা নেওয়া হয়েছে ১১ জনের।
এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট ৯৯৪ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩৫৭ জন। এ ছাড়া বন্দর হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ১ জন রোগী। আইসোলেশনে আছেন ২ জন।