এতো জামাত গেলো কই? আমাদের চারপাশে নানা ভাবে বেড়ে উঠা জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। বিগত একযুগেরও আগে দেশে যখন ডেভেলপমেন্ট এর রমরমা ব্যবসা চলছিল, শুরু থেকেই বেশীরভাগ ডেভেলপার কোম্পানীগুলো ছিল জামায়াত ইসলামীর নেতাদের দখলে। জামায়াত শিবিরের শক্তিশালী একটি ফান্ড তৈরী হয়েছিল তাদের সমষ্টিগত প্রচেষ্টায়। যেখান থেকে পরিচালনা করা হতো নেতাকর্মী দের মামলাসহ পরিবারের খরচাপাতি।
একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িতরা এখন খোলস পাল্টিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন কিংবা সামাজিক সংগঠনে জড়িয়ে গিয়ে অতীতের কালিমা মোচনে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছেন দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে। তবে তারা মনেপ্রাণে এখনও ধারণ করে আসছে তাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠনের আদর্শ। সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে একটুও দেরী করেনা জামাত শিবির।
সাতকানিয়ার ভোয়ালিয়াপাড়ার মৃত ফকির আহম্মদের সন্তান ছৈয়দ নূর জামায়াত শিবিরের সক্রিয় একজন সদস্য হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত।
পরবর্তীতে কৌশলে নিজেকে জামাত সংশ্লিষ্টতা থেকে আড়াল করতে তিনি ভিন্নরূপে
তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাবেক সহ সভাপতি হাজী ছৈয়দ নূর, বর্তমানে তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির উপদেষ্টা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দান করে জামাত শিবিরের পরিচয়টি মুছে ফেলতে অবলম্বন করেন নানান পন্থা।
সাতকানিয়ার সুত্রে জানা যায়, একসময় জামাতের রাজনীতিতে সক্রিয় এই ছৈয়দ নূর পরবর্তীতে জামাত শিবিরের অর্থ জোগান দাতা হিসেবে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং নাশকতার মামলা সহ অর্থ যোগানদাতা হিসেবে বেশকয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। বিগত ২০১৪ সালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়ের পর জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে অর্থ যোগানদানের সম্পৃক্ততা মিলেছিল ছৈয়দ নূরের। তার সাথে জামাতের শীর্ষ পর্যায়ের বেশকয়েকজন ব্যাংক ট্রান্জেকশন পাওয়ার অভিযোগে তাকে তখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও জামাতের আমীর মাওলানা শামশুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ ও একান্ত বিশ্বস্ত এই ছৈয়দ নূর জামাতের অর্থ যোগানদাতাদের শীর্ষ পর্যায়ের একজন।
টাকা আয় করে তারা কি কেবল নিত্যপ্রয়োজনীয় কিংবা সংসার চালায়, নাকি বড় কোনো পরিকল্পনার ছক নকশা, পরিকল্পনায় শক্তি সঞ্চয় করছেন। অতীতেও জামাত শিবিরের সুক্ষ্ম পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছে নাশকতা সহ বেশকিছু গুপ্ত হামলা। আসন্ন চসিক নির্বাচন কে কেন্দ্র করে গত ৪/৫ দিন ধরেই তাদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। ঝিমিয়ে পড়া জামাত শিবির নেতৃবৃন্দদের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে আনাগোনা ও গোপন বৈঠক আবারও একটি অশনি সংকেত। তারা কি আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়তো ছক আঁকছে নতুন করে কোনো নাশকতার।